আয়াত ৪২ | রুকু ১ | অবতীর্ণের অনুক্রম ০৮০
পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে।
  1. সে (নবী ) ভ্রুকুঞ্চিত করলো এবং (বিরক্ত হয়ে ) মুখ ফিরিয়ে নিলো,
  2. কারণ তার কাছে একজন অন্ধ ব্যক্তি এসেছে;
  3. তুমি কি জানতে- হয়তো বা সে (অন্ধ ব্যক্তিটি) নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নিতো,
  4. (কিংবা) সে উপদেশ গ্রহন করতো, অতঃপর তা তার জন্য উপকারী হতো;
  5. (অপরদিকে) যে (লোকটি হেদায়েতের প্রতি ) বেপরোয়া ভাব দেখালো-
  6. তুমি তার প্রতিই (বেশি) মনোযোগ প্রদান করলে;
  7. (অথচ) সে ব্যক্তি পরিশুদ্ধ হবে এটা তোমার দায়িত্বও নয়;
  8. (অপর দিকে ) যে ব্যক্তিটি (নিজ পরিশুদ্ধির জন্য) তোমার কাছে দৌড়ে আসছে,
  9. সে (আল্লাহকে) ভয় করে,
  10. (অথচ) তুমি তার প্রতিই বিরক্ত হলে,
  11. না, কখনোই (এমনটি উচিৎ) নয়। এ (কোরআন) হচ্ছে একটি উপদেশ,
  12. যে চাইবে সে তা স্মরণ করবে।
  13. সম্মানিত স্থান (লওহে মাহফুজ)-এ (সংরক্ষিত) আছে,
  14. উঁচু মর্যাদাসম্পন্ন ও সমধিক পবিত্র,
  15. এটি সংরক্ষিত (থাকে) মর্যাদাবান লেখকদের হাতে,
  16. (তারা) মহান ও পূত চরিত্রসম্পন্ন;
  17. মানুষের প্রতি অভিসম্পাত! কোন জিনিসটি তাকে (আল্লাহর আয়াতকে) অস্বীকার করালো;
  18. আল্লাহ তায়ালা কোন বস্তু থেকে তাকে সৃষ্টি করেছেন; (তা কি সে দেখলো না?)
  19. তিনি তাকে একবিন্দু শুক্র থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনি তার (দেহে সবকিছুর যথাযথ) পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন,
  20. অতঃপর তিনি (এই দুনিয়ায়) তার চলার পথ সহজ করে দিয়েছেন,
  21. এরপর তিনি তাকে মৃত্যু দিয়েছেন এবং তাকে কবরে রেখেছেন,
  22. আবার তিনি যখন চাইবেন তাকে পুনরায় জীবিত করবেন;
  23. না, তাকে যা আদেশ করা হয়েছে তা সে পালন করেনি;
  24. মানুষ তার খাবারের দিকেও একবার তাকিয়ে দেখুক (কতগুলো স্তর অতিক্রম করে এই খাবার তার সামনে আনা হয়েছে),
  25. আমি (শুকনো ভূমিতে) প্রচুর পরিমাণে পানি ঢেলেছি,
  26. এরপর আমি যমীনকে বিদীর্ণ করেছি,
  27. (অতঃপর) তাতে উৎপন্ন করেছি শস্যদানা,
  28. আঙ্গুরের থোকা ও রকমারি শাকসবজি,
  29. (আরও উৎপন্ন করেছি) যয়তুন ও খেজুর (-সহ বিভিন্ন ধরণের ফলমূল),
  30. (সেখানে রয়েছে ) শ্যামল ঘন বাগান,
  31. (আছে ) ফলমূল ও ঘাস,
  32. (এর সবই হচ্ছে ) তোমাদের এবং তোমাদের গৃহপালিত জন্তু-জানোয়ারের উপকার ও উপকারভোগের জন্য;
  33. অতঃপর যখন বিকট একটি আওয়াজ আসবে (তখন সব আয়োজন শেষ হয়ে যাবে),
  34. সেদিন মানুষ তার নিজ ভাইয়ের কাছ থেকে পালাতে থাকবে,
  35. (পালাতে থাকবে) তার নিজের মায়ের কাছ থেকে, বিজের বাবার কাছ থেকে,
  36. তার সহধর্মিনী থেকে, (এমনকি) তার ছেলেমেয়ের থেকেও;
  37. সেদিন তাদের প্রত্যেকের জন্যই পরিসস্থিতি এমন (ভয়াবহ) হবে যে, তা-ই তার (ভীতি ও উদ্বেগের) জন্য যথেষ্ট হবে;
  38. কিছু সংখ্যক (মানুষের) চেহারা সেদিন উজ্জ্বল হবে,
  39. তারা সহাস্য ও প্রফুল্ল থাকবে,
  40. (অপরদিকে) সেদিন কিছু সংখ্যক চেহারা (কুৎসিত) হবে, তার উপর ধুলাবালি পড়ে থাকবে,
  41. মলিনতায় তা ছেয়ে যাবে,
  42. এ লোকগুলোই হচ্ছে (কিতাব) অস্বীকারকারী, এরাই হচ্ছে পাপিষ্ঠ।